যতীন কিশোর
পড়াশোনাতে কোনো দিন আহামরি ছিলাম না। জীবনে অলীক বড়ো কিছু হওয়ার স্বপ্ন ও কেউ দেখায়নি। তবু আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে আমাদের পাশে একজন করে ' ঝাটু ' বরাবর ছিলো। আমেরিকান ড্রিম, ঝাঁ চক চকে রাজারহাটের ফ্ল্যাট, নতুন গাড়ির বনেটের ফিতে না খোলার অহংকারের পাশে কংক্রিটের জঙ্গলের বুক চিরে গড়ের মাঠের মতোন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিল 'ঝাটু রা '। ঝাটু চরিত্র গুলি যেমন আমাদের বখিয়ে দিয়েছে, তেমনি রাত বিরেতে যে কোনো সময়ে শুধু একটি ডাকে দ্বিধা - অজুহাতহীন ভাবে হাসপাতালের মেঝেতে আমাদের সাথে বহু রাত জেগেছে। ফেসবুক,গুগল, আমাজন, লক্ষ লক্ষ ডলার, গ্রীন কার্ড, 9 সি জি পি এ কেউ মনে রাখেনি। আমরা কিন্তু 'ঝাটু'দের মনে রেখেছি। আকাঙ্খার ল্যাপটপে মেইল আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সাসপেন্স নিয়ে একবার শুধু যতীন কিশোরের নাম শুনতে চেয়েছি। শুধু একবার হিমেল নীরবতা ভেঙে আকাঙ্খা বলুক "যতীন কিশোর সিলেক্টেড"। যতীন কিশোর ওরফে ঝাটু যদি চাকরি না পেত, এই জোৎস্না, কবিদের লেখা চতুর্দশপদী, ব্যাকলগ থেকে ফিরে আসা পৃথিবীর প্রতিটি জেতার কাহিনী ব্যর্থ হয়ে যেত। এই 'ঝাটু'দের নাম কোনো প্লেসমেন্ট অফিসার, কলেজের এচিভারসদের লিস্ট, মেডেল সাজানো দেওয়াল মনে রাখেনি তবু আজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলির ক্যান্টিন, হিজিবিজি দেওয়াল, বাথরুমের কোনে, শেষ না হওয়া সিগারেটের কাউন্টারে আমাদের 'ঝাটু ' রা বেচেঁ আছে। শুধু এই মহাকাব্যিক 'ঝাটু 'দের পাশে নিয়ে, আনসিন হওয়া হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের মতো নীরবে পাশ ফিরে মরে যায় কাঙাল মালসাটের দাঁড়কাক, সচিন- সৌরভের রাহুল, মহাভারতের কর্ন, আর আমি রকসিত রাখসাবন্ধন গুপ্তা ওরফে রাখী...
Written by rourab
01th October Sunday 2023
Share
Comments
good luck
Write A Comment