কথোপকথন ৬
রুগ্নতা তোমায় জড়িয়ে ধরেছে ক্রমশ
ক্ষীণ বাহু হতে জীর্ণ কটি দেশে
হেরে যাওয়া হাড় জিরজিরে কাঁধ
তোমার শরীরে দরিদ্রতার বেশে।
তোমার ছেলে স্কুল-ছুট
তোমার কপালে শিশু শ্রমিকের মতভেদ
রাত্রি ভেসেছে চোলাইয়ের স্রোতে
কাস্তে হাতুড়ি কমরেড।
গ্রামে ফেলে আসা দুই বিঘা বাজা
কেমনে জোগাবে নাস্তা?
চাষি থেকে শ্রমিকের রূপ
লাঙলে গড়েছে পিচের রাস্তা।
এখন ও বুকে ফসলের গন্ধ
হলদে রেশন কার্ডে ঘুমিয়ে আছে পিন
সন্ধ্যে নামছে শহরে
আর আসছে না নবান্নের দিন
জানিনা কি ছিল, কি বা পাবে প্রহরিণী?
কতখানি জলদি বেহালা ছুটবে কৈখালি?
কতটা গন্ধে কতটা থুতু উঠে আসে?
কটা এন জি ও পেল কটা হাততালি?
গাড়ির জানালা হতে বিস্কুট হাতে
হাত নেড়েছে মিথ্যে লুকানো সাচ্চা
আর কেউ ছুটে যাবেনা ভিখিরির মত
গোকুলে বাড়ছে আমারই বুকের দুধে
আমার নিজের বাচ্চা।
এখানে ও মহেশ শুয়ে আছে
কালো রাস্তার ক্ষয়ে
আমিনার মুখে পিছু ডাক
গফুরের পিছুটান হয়ে হয়ে।
শোন হে আদালত, বিচারের বানী
শোন হে কঠিন ক্ষমতা
এশহরের যত খাল পাড়
ফুটপাত, ইমারত কোন
আমারই ভিটে, আমারই জমি
আমার ইচ্ছের মুক্তি,
আদেশ দিয়েছেন স্বয়ং
আঙ্গুল উঁচানো লেনিনের মূর্তি।
২৮/০৮/২০১৪ নতুন করে লেখা ১৬/০৯/১৫
Written by rourab
02th August Saturday 2014
Share
Write A Comment