ডিম কি menstrual waste?
মুরগির ডিমকে অনেকেই menstrual waste বলে থাকেন এবং যেহেতু এটি একটি waste এবং নোংরা জিনিস তাই ডিম খেতে অনেকেই না করেন।
আদপেই মুরগির ম্যামেল প্রাণীদের মত menustral হয় না। যদি সরলীকরণ করে মুরগির ডিমকে menustral waste বলতেই হয় তবে ফুল ও কিন্তু আসলে গাছের জননাঙ্গ (reporductive organ)। ফুলের বৃন্তমুখ (stigma) আসলে যোনি (vagina), ডিম্বাশয় হল ovaries, পুংকেশর হল পেনিস এবং পরাগধানী (anther) হল টেস্টিস।
চিত্র ক তে দেখুন একটি মুরগির ডিম্বাশয় বা ovary থেকে ডিম বা ovum নির্গত হয়। জনননালির বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সময়ে সেই ovum এর সাথে প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি যুক্ত হতে থাকে এবং ক্রমশ ovum টি ডিমের হলুদ অংশে পরিণত হয়। এরপর ডিমের ovum এর সাথে এল্বুমিন যুক্ত হয় যেটি আসলে মুরগির ডিমের বাইরের সাদা অংশটি। সবশেষে ডিম বা ovum টি গর্ভাশয়ে এসে জমা হয় যেখানে ডিমের সাদা অংশের বাইরে একটি শক্ত খোল তৈরি হয়। ovum এর যাত্রাপথে সেটি শুক্রাণু বা sperm এর সাথে মিলিত হতে পারে তবে যাত্রাপথের এই স্টেপ গুলো মোটামুটি ভাবে একইরকম।
চিত্র খ টি দেখলে বুঝতে পারবেন ফুলের ক্ষেত্রেও ovum এর যাত্রাপথে মোটামুটিভাবে একই ধরনের প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সংযুক্তিকরণ, বীজের বাইরের শক্ত খোল তৈরি ইত্যাদি স্টেপ গুলি ঘটে থাকে।
যদি তর্কের খাতিরে ধরে মুরগির ডিম খাওয়া মানে menstrual waste খাওয়া হয়, তাহলে বকফুল বেসন মাখিয়ে ভাজা খাওয়া মানে গাছের জননাঙ্গ ভাজা খাওয়া এবং ফল খাওয়া মানে গাছের পাকা ডিম্বাশয় (ripened ovary) খাওয়া। বর্জ্য মানে হল শরীরের অপ্রয়োজনীয় জিনিস। মনে রাখবেন বর্জ্য খাওয়া মানেই বাজে নয়। কোন জীবের বর্জ্য অন্য জীবের জন্য দরকারি হতেই পারে। যেমন গাছের বর্জ্য অক্সিজেন মানুষের বেঁচে থাকার প্রাণ বায়ু।
যারা ডিম কে menstrual waste বা নোংরা জিনিস বলে ডিম খেতে না বলেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেজ খাবার বনাম ননভেজ খাবারের একটি তর্ক লাগিয়ে দিতে ভালবাসেন। পুষ্টি গুনের বিচারে এই তর্ক আসলে অর্থহীন। অনেক মানুষ ভেজ খাবার খেয়ে আনন্দ পান সুস্থ ভাবে বাঁচেন। সেই একই ভেজ ডায়েট অনেকের শরীরের জন্য উপযুক্ত হয় না। এই দুধরনের খাবারেরই ভাল মন্দ দুটো দিকই আছে। ভেজ বা নন ভেজ যে কোন খাবার আপনাকে সঠিক পরিমাণে খেতে হবে, কোন খাবারই শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। আপনি কি খাবার খাবেন তা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আপনাকে নিজে বুঝতে হবে আপনার শরীর কোন ধরনের খাবারের সাথে বেশি মানিয়ে নিচ্ছে। কেউ ভেজ খেয়ে সুস্থ থাকা মানে এই নয় আপনি সেই একই ভেজ খাবার খেয়ে সুস্থ থাকবেন। ভেজ বা ননভেজ খাবার বেছে নেওয়ার সময় আবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার শরীরের প্রোটিন ও অন্যান্য নিউট্রেশনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা।
Written by rourab
18th July Thursday 2024
Share
Write A Comment