সোয়ালো সোয়ালো, লিটিল সোয়ালো
অস্কার ওয়াইল্ডের সাথে আমার পরিচয় হ্যাপি প্রিন্সের মাধ্যমে। ক্লাস সেভেনে পাঠ্য বইএর অংশ ছিলো হ্যাপি প্রিন্স। ইংরেজি আমি কিছু বুঝতাম না সে ভাবে। অথচ আজ ও স্কুলের ইংরেজি টিচার হ্যাপি প্রিন্স পড়াচ্ছেন তা আজ ও কানে বাজে।
‘সোয়ালো সোয়ালো, লিটিল সোয়ালো’
মৃত যুবরাজ তার মনি মানিক্য খচিত মূর্তি থেকে এক একটা রত্ন ছোট্ট সোয়ালো পাখি কে খুলে নিয়ে শহরের গরীব, আশ্রয়হীন, ক্ষুধার্ত মানুষদের দিয়ে দিতে বলছেন। যে যুবরাজ জীবিত কালে তার প্রজাদের দুর্দশা দেখেননি, দুঃখ কি জিনিস বুঝতেই পারেন নি, মরে যাওয়ার পর যখন তিনি মূর্তি হয়ে গেছেন, শহরের সবচেয়ে উঁচু জায়গা থেকে যুবরাজ হ্যাপি তার শহরকে পুরো দেখতে পাচ্ছেন। সোয়ালো পাখি হ্যাপি প্রিন্সের নির্দেশে তাঁর মূর্তির চোখের রত্নটি খুলে আর্ত কে দিয়ে আসছে, আর যুবরাজ অন্ধ হয়ে গেলেন।
কি ট্র্যাজিক, কি চূড়ান্ত মেলোড্রোমা।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ হাজার হাজার জীবিত হ্যাপি প্রিন্স রয়েছেন, তাদের সাহায্যের জন্য আমলা, সেক্রেটারি, সহযোগী শিক্ষিত, কোয়ালিফাইড সোয়ালো পাখিরা ও রয়েছে।
কিন্তু হ্যাপি প্রিন্স তাদের ডাকেন না “ সোয়ালো, সোয়ালো লিটিল সোয়ালো…”
ডাবলিন শহরের এই বাড়িতে থাকতেন অস্কার ওয়াইল্ড
Written by rourab
23th March Saturday 2024
Share
Write A Comment