টেনিদা ও চেতন ভগৎ
একটা গিফট বক্স হাতে নিয়ে চাটুজ্জের রোয়াকে প্যালার প্রবেশ
প্যালাঃ টেনিদা দুটো হেব্বি খবর আছে।
টেনিদাঃ কারো বাচ্চা হল? নাকি ভাই হল?
প্যালাঃ প্রথম খবর, অঙ্ক দৌড়ে থার্ড হয়ে আমি এই প্রাইজটা পেলাম। দ্বিতীয় হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের পাঠক্রমে চেতন ভগতের ‘ফাইভ পয়েন্টস সামওয়ান'।
টেনিদাঃ বলিস কি, আগাথা ক্রিস্টি, জে কে রাউলিং, অ্যালকট ও শেক্সপিয়ার সাথে চেতন ভগত?
হাবুলঃ ডিমের হ্যামলেটের, ইয়ে মানে ওমলেটের শ্যাষ টুকরায় এক ডেলা নুন।
ক্যাবলাঃ অকাট মূর্খের মতো কথা বলবি না হাবুল। চেতন ভগতের বই এর কাটতি জানিস? কোন আইডিয়া আছে?
টেনিদাঃ হ্যাঁ জানা আছে। কলেজের ছেলে মেয়েরা আজকাল চেতন ভগত পড়ে ভাবছে ইংরাজি সাহিত্য সব পড়ে নিল। ট্রেনের হ্যাঙ্গারে হাত রেখে, বাসের পাদানিতে পা রেখে, ফেসবুকে লাইক মারতে মারতে, নাক খুঁটে পেজ মার্কারে মুছতে মুছতে শুধু চেতন ভগত আর চেতন ভগত। কিন্তু তারা এটা ভেবে দেখেনি বা জানেনা চেতন আসলে একজন থার্ড ক্লাস ইউ টার্ন না জানা মাইকেল।
প্যালাঃ মাইকেল কে? মাইকেল জ্যাকসন?টেনিদাঃ শিঙি মাছ খাওয়া বুদ্ধি নিয়ে গ্লোবালাইজেশনে গা ভাসালে এই হয়। কন্টেক্সট ও বুঝিস না।
ক্যাবলাঃ কে? মাইকেল মধুসূদন?
টেনিদাঃ (রেগে গিয়ে)না গাব্রিয়াল মারকোজের কথা বলছি রে হতভাগা।
হাবুলঃ গাব্রিয়াল আবার মাইকেল হইল কবে? যত বাজে কথা কও। টেনিদাঃ তোদের মত অশিক্ষিতদের সাথে বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে কথা বলাই ঝকমারি। হাবুল যদি তুই চুপ না করিস
এক্ষুনি তোর আলু কাবলি ফাইন হবে বলে দিলুম।
প্যালাঃ হাবুল থাম। আমি ও থামলুম। এই আমি নিজের মুখে প্রাইজটা গুজে দিলুম।
টেনিদাঃ হ্যাঁ। সেই। এখন কেউ প্রাইজ পায়না, প্রাইজ গুঁজেই দেয়, ওভারটাইমের পর যে ভাবে মালিক বুক পকেটে বকশিশ গুঁজে দেয় আর পিঠ চাপড়ে বলে " রাখ ভাই, যা লেবার দিলি, এটা তোর পাওনা ছিলো রে", অনেকটা সেই ধাঁচের,
হাবুল: আর ক্রিয়েটিভিটি হইল গিয়া সত্যিকারের লেবার পেইন,
টেনিদা: কেউ অঙ্ক করলে সরকার প্রাইজ গুঁজে দেয় , কেউ গান করলে, কেউ সিনেমা বানালে, কেউ লিখলে, আর কেউ পায় টুইট করলে।
ক্যাবলাঃ টুইট করে কে প্রাইজ পেল? চেতন ভগত?
টেনিদাঃ (হেসে ফেলে )না গাব্রিয়াল মারকোজ।
Written by rourab
25th April Tuesday 2017
Share
Write A Comment