কথোপকথন ৮ : পূজা
আঁটার মণ্ড ছেড়ে আমি একলা দামাল লেচি,
প্রহরিণী পুজোয় আমি ঠাকুর দেখতে গেছি;
ঠাকুর তুমি এত্ত বড়, মানুষরা এইটুকুন,
পালিশ করা কাঠের ভেতর এক বিশ্রী ফাঁপা ঘুণ;
ছোট্ট ছেলে গ্যাস বেলুনে অবাক কঠিন চোখ,
আশির বুড়ো জিলিপিতে এক প্রেম-বিলাসী লোক;
দই হয়েছে অন্তঃ সলিল, পাগলপারা নদী,
পাপড়ি চাটে অষ্টাদশী, অলীক সপ্তপদী;
পাড়ার দামাল পেপসি ফেলে ভদকা ঢালে কোনে,
লাইন থামিয়ে সেলফি ওঠে স্পর্শকাতর ফোনে;
প্রেমিক কেনে জলের বোতল, প্রেমের গলা ভেঁজে,
আর কাজের মাসির ছোট্ট মেয়ে লাল জামাতে সেজে;
নাচতে নাচতে ভুবন হারা, কোন অস্ত্র কে নেবে,
সব পাড়াতেই চেনা কাকু, ট্রাফিক সামাল দেবে;
সদ্য গোঁফের প্রেম জমেছে, কাপ এঁকেছে প্রেস্ত,
তোমার গাড়ির কালো কাঁচে মুখ ধুয়েছে ফ্লেক্সও;
একজোড়া চোখ ফুচকা খাবে, টক জলে ধোঁক গিলে,
রোডকুইজে একটু দাঁড়াও, বন্ধুরা সব মিলে;
তোমার হাতে দো-পেয়াজি, আমার ঠোঁটে এগ রোল,
হাক্কা চাউয়ে চাইতে হবে চিলি চিকেনের ঝোল;
দুপুর বেলা পাড়ার ক্লাবে পেট ভরে খাওয়া চাই,
আড়চোখেতে এক ফ্ল্যাটের মেয়ে, মন তোমার জন্যে যাই;
ঠাকুর তুমি এত্ত বড়, মানুষরা এইটুকুন,
দিনের শেষে ভেসেই গেলে, প্রেমের মতো এক খুন।
Written by rourab
24th October Saturday 2015
Share
Write A Comment